১.
অফিসে দেরি করে আসাই নিয়ম বানিয়েছেন মোখলেস সাহেব।
সেদিনও হেলতেদুলতে অফিসে ঢুকেছেন। চেয়ারে বসতে না বসতেই বস ডাকলেন।
বস বললেন, ‘আপনি সব কাজেই দেরি করেন। আচ্ছা, ঘড়ির কাঁটা ধরে আপনি কি কিছুই করেন না?’
মোখলেস সাহেব বিগলিত হাসি দিয়ে বললেন, ‘করি, স্যার। ঠিক সন্ধ্যা ছয়টা বাজলেই আমি অফিস থেকে বের হয়ে যাই। এক সেকেন্ডও দেরি হয় না।’
২.
বাবলু সাহেবের কাজে বস খুশি। ফোন করলেন তখনই।
বস বললেন, ‘বাবলু সাহেব, আপনার এবারের কাজটা অসাধারণ হয়েছে।’
বাবলু সাহেবও বিগলিত, ‘তাহলে কি স্যার বেতন বাড়ছে?’
বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘না, বেতন বাড়ছে না, তবে কাজ বাড়ছে। আপনি প্রমাণ করেছেন, আপনি আরও অনেক বেশি কাজ করতে পারবেন।’
৩.
হাবু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার ওপরে বিদ্যুতের তারে একটি পাখি বসে আছে।
একসময় পাখিটি মল ত্যাগ করামাত্র সোজাসুজি তা হাবুর মাথায় পড়ল।
ব্যাপারটা টের পেয়ে হাবু আশপাশে তাকাল, কেউ দেখেছে কি না, তা বুঝতে।
তারপর মনে মনে বলতে লাগল, ‘তা–ও ভালো যে গরু উড়তে পারে না; আর তারের ওপরও বসতে পারে না!’
৪.
মোখলেস সাহেবের ছুটি দরকার। গেলেন বসের কাছে।
কাচুমাচু করে বললেন, ‘স্যার, আমার ছুটি দরকার। কারণ, আমি দ্রুত সব ভুলে যাচ্ছি।’
বস বললেন, ‘এ সমস্যা কত দিনের?’
মোখলেস সাহেব বললেন, ‘কোন সমস্যাটা, স্যার?’
বস কয়েক সেকেন্ড খাবি খেয়ে বললেন, ‘আপনার ছুটি মঞ্জুর।’
৫.
হাসমত সাহেব স্মৃতিশক্তি নিয়ে ভীষণ বেকায়দায় পড়েছেন। কিছুই মনে থাকে না আজকাল। একবার এক কবিরাজের ওষুধ খেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।
তাই আবারও সেই কবিরাজের শরণাপন্ন হলেন।
কবিরাজকে বললেন, ‘স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ওষুধটা যদি আবার দিতেন...।’
কবিরাজ বললেন, ‘গতবার যেন কী ওষুধ দিয়েছিলাম আপনাকে? মনেই তো করতে পারছি না!’
৬.
দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া।
প্রথম লোক বলল, ‘মুখ সামলায়া কথা বল। এক চড়ে তর ৩২টা দাঁত ফালায় দিমু।’
দ্বিতীয় লোক আরেক কাঠি সরেস, ‘আমি কি বইসা থাকুম? এক চড়ে আমি ৬৪টা দাঁত উধাও কইরা দিমু।’
পাশ থেকে তৃতীয় এক লোক বলল, ‘দাঁত তো মাত্র ৩২টা। ৬৪টা ফেলবেন ক্যামনে?’
দ্বিতীয় লোক দাঁত খিঁচিয়ে বলল, ‘আমি জানতাম, তুমি আমগো কথার মইধ্যে নাক গলাইবা! তাই তোমার দাঁতও হিসাব কইরা লইছি।’
0 Comments